আলমডাঙ্গার স্ট্রিট ফুড-২

238
আলমডাঙ্গার স্ট্রিট ফুড-২
আব্দুল খালেক

আব্দুল খালেকের জন্ম শরিয়তপুর। বাল্যকালের কিছু সময় কেটেছে সেখানেই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হাজার ছিন্নমূল মানুষের মত রুটি-রুজির সন্ধানে বাবা মইনুদ্দিন হাওলাদারের হাতে ধরে গিয়েছিল ঢাকা শহরে। কিন্তু থিতু হওয়ার আগেই তাঁর বাবা তাদেরকে ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। আব্দুল খালেকের বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। সেই বয়সেই তাঁকে নামতে হয় পৃথিবীর পথে, জীবিকার সন্ধানে।


আশ্রয় হয় ফরিদপুর জেলার জনৈক আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে। সেই আব্দুস সাত্তারের স্ত্রীর সুত্র ধরে এক সময় আলমডাঙ্গায় আসেন আব্দুল খালেক। জীবিকার জন্য প্রথমে ফেরি করে নারকেল এবং দুধের তৈরি আইসক্রিম বিক্রি করতেন। কিন্তু উপকরণের মুল্য বেড়ে গেলে তিনি আইসক্রিমের ব্যবসা বাদ দিয়ে বাদাম বিক্রি করা শুরু করেন। বস্তা ধরে বাদাম কিনে সেই বাদাম নিজ হাতে পরিষ্কার করে গরম গরম ক্রেতাদের কাছে পরিবেশন করেন।


তাঁর গরম বাদাম ভাজা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, চাহিদা আছে বেশ। আগে এক সময় হাফিয মোড়ে বসতেন। এখন তাঁর ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসেন আল তায়েবার সামনে সপ্তাহে তিন দিন- মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতি বারে। অর্থের বেশী প্রয়োজন হলে কোনো কোনো সপ্তাহে দুই-এক দিন বেশী বসেন। আর এই ভাবেই একজন আব্দুল খালেক এগিয়ে চলেছেন। একদা ছিন্নমূল আব্দুল খালেকের এখন থাকার জন্য আধা-পাকা ঘর আছে, আছে চাষের জন্য যৎসামান্য জমিন আর বাড়িতে পালন করেন গরু।