ইয়াসিন আলী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার রামনগর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র। বাবা আবুল হোসেন একসময় রিক্সা-ভ্যানে করে বেগুনি, চপ, পিয়াজু বিক্রয় করতেন। বাবাকে অনুসরণ করে ইয়াসিন আলীও একসময় রিক্সা-ভ্যানে করে ভাজা-পোড়ার ব্যবসা শুরু করেন।
একবার আলমডাঙ্গার পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর গ্রামের এক মেলায় গিয়েছিলেন তাঁর পণ্য বিক্রি করতে। মেলা শেষে যখন নিজ গ্রামে ফিরছিলেন, তখন কাকতালীয় ভাবে আলমডাঙ্গাতে এসে তাঁর রিক্সা-ভ্যনের চার্জ শেষ হয়ে যায়। তখন আলমডাঙ্গা থানার সামনের চায়ের স্টল মালিক ফরিদের সাথে তাঁর কথা হয়।
ফরিদের প্রেরণায় আলমডাঙ্গা থানার সামনে ইয়াসিন আলী ভ্রাম্যমাণ ভাজা-পোড়ার দোকান নিয়ে বসতে শুরু করেন এবং দ্রুতই তাঁর তৈরি বেগুনি, পিয়াজু, আলুর চপ, ডিমের চপ ইত্যাদি জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়।
প্রতিদিন বেচাকেনা শেষে ইয়াসিন আলী ফিরে যান আলমডাঙ্গা স্টেশান পাড়ার ভাড়া করা ঘরটিতে। পরের দিন ফিরে আসেন তাঁর ভ্রাম্যমাণ দোকানটি নিয়ে, ফিরে আসেন আলমডাঙ্গার রাজপথে।
পাঁচ বছর বয়সে অন্যের বাসায় ১০০ টাকা বেতনের কাজ নিয়ে কর্ম জীবন শুরু করা ইয়াসিন আলী এখন জড়িয়ে পড়েছেন আলমডাঙ্গার সাথে; জড়িয়ে পড়েছে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের রুটি-রুজি। সংগ্রামী ইয়াসিন আলীদের জীবনের গল্প, জীবনের ছবিগুলো এ’রকমই হয়। ইয়াসিন আলীরা জয়ী হোক। তাঁদের সবার জন্য শুভ কামনা।