হোক প্রতিবাদ প্রতিটি ধর্ষণের বিরুদ্ধে

মানববন্ধন

ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

বাংলাদেশে গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ বাদ যায়নি শিক্ষার্থী, গৃহবধু প্রতিবন্ধী কিংবা শিশু৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘৃন্য অপরাধটির ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়াার জন্য বিচার না হওয়াকে দায়ী করছেন মানবাধিকার কর্মীরা৷

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাস্তির সাথে জরিমানাও বাধ্যতামূলক করা হয়। এই আইনে বলা হয়েছে, “যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে ওই ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।”

এছাড়া যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন তাহলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

যদি কোন ব্যক্তি নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করে বা আহত করার চেষ্টা করে তাহলে তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হবে। আর ধর্ষণের চেষ্টা করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হবে।

আইন এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং দ্রুত সময়ে অপরাধীর শাস্তি কার্যকর করতে পারলেই শুধুমাত্র ধর্ষণ সহ যে কোন অপরাধ কমানো সম্ভব। সমাজ বিজ্ঞানের ভাষায় বিচারহীনতা সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি করে এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।

যেটাই হোক না কেন আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ছাড়া ধর্ষণ বন্ধ করা কখোনোই সম্ভব না। তাই ধর্ষণের যথাযথ বিচারের এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজকের এই মানববন্ধন।

আয়োজন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব আলমডাংগার সদস্যরা। সকাল ১০:৩০ এ আলিফউদ্দিন মোড় থেকে প্রধান সড়কে সকলের সাথে সমবেত হয়ে একাত্মতা ঘোষনা করে প্রতিবাদ জানান আলমডাঙ্গার সকল স্তরের মানুষ।