বসন্তের ছোঁয়ায় কচি পাতায় রঙ্গিন প্রজাপতির ধ্যান ।
এখনও গাবগাছ ও পুকুর পাড় আছে কিন্তু সেই মূহুর্তগুলো নেই, তবে প্রতি বছর গাবগাছ তার সেই রুপ দেখাতে একটুও কার্পণ্যতা করেনা।
কুমারীর জমিদার শৈলেন...
আম আঁটির ভেঁপুর দিনগুলো! আমার শৈশব
কাঁঠ ফাটা রৌদ্রে এবং তীব্র গরমে অনেকেই গাছের নীচে বিশ্রাম নিত,আর বেচারী গাছ তার নিজের ফল নিঃস্বার্থ ভাবে বিলিয়ে দিতো। আসলে প্রকৃতি নিঃস্বার্থ ই হয়!
ষাট-সত্তর দশকে বেড়ে ওঠা তরুণদের যাপিত জীবন
ষাট এবং সত্তর দশকে আলমডাঙ্গায় বেড়ে ওঠা একজন মানুষের তখনকার তরুণদের যাপিত জীবন।
সেই সময়ঃ শীত নিদ্রায় যাওয়ার আগে স্মৃতিকাতরতা
যখন বুঝতে শিখেছিলাম তখন দেখেছি অনেকগুলো ক্লাব ছিল আলমডাঙ্গায়। ফ্রেন্ডস ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, টাইগার ক্লাব, রেইনবো ক্লাব, টারজান ক্লাব, গোবিন্দপুরের সোনালি সংঘ এগুলো ছিল নামকরা। এছাড়া প্রায় সব গ্রামেরই একটা নিজস্ব একাদশ ছিল। কোন কোন গ্রামে একের অধিক একাদশও ছিল। খেলা যায় এমন সব জায়গায় বিকাল বেলা কোন না কোন খেলা নিয়ে শিশু-কিশোর-তরুণরা মেতে থাকতো। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ছোট বড় ফুটবল, ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টন লীগের আয়োজন করতো। ইন্টার স্কুলের খেলাগুলো নিয়ে ছিল মাতামাতি। সবগুলো ক্লাব থেকে যাচাই করে ভাল সেরা খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হতো আলমডাঙ্গা একাদশ।
অনন্ত রাত্রি
আলমডাঙ্গা রেলস্টেশানে তাঁর পাশে আমি দাঁড়িয়ে আছি। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি। গাঢ় অন্ধকার রাত। তাতে আবার দমকা হাওয়া এবং অন্যান্য সব মিলিয়ে পরিবেশটা স্যার আরথার কোনান ডয়েলের কোন একটা গোয়েন্দা কাহিনীর দৃশ্যের মত হয়ে উঠেছে। স্টেশানে মাত্র দুই-চারজন লোক। তারা তাদের মত বসে আছে চুপচাপ।
অস্তরাগে স্মৃতি সমুজ্জ্বল প্রিয় বিদ্যাপীঠ
স্কুলটাকে ঘিরে আমার মতই অজস্র স্মৃতি জমে আছে স্কুলটির সহস্র ছাত্র-ছাত্রীর মনে। তাদের সবাইকে, এবং বেশির ভাগকেই, আমি চিনি না; তাদের কাছে আমিও অচেনা।...
প্রিয় শিক্ষক সোলায়মান স্যার
সোলাইমান স্যার ইংরেজি বিষয়টা ছাত্রদের অজান্তেই তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারতেন। যারা পরিশ্রম করতে পারত তাদের বিফল হওয়ার সুযোগ ছিল না। চর্চা চর্চা এবং চর্চা- এই ছিল একমাত্র অস্ত্র।
আমার দেখা ব্যারিস্টার বাদল রশীদ
'ব্যারিস্টার চাচা' কোথায় যেন সরকারি অনুষ্ঠানে যাবেন। টাই পরা। আমি সেই প্রথম টাই দেখে বিস্মিত হই। আব্বাকে জিজ্ঞেস করলাম ওঁর গলায় ওটা কী। আব্বা বললেন, "নেকটাই। ব্যারিস্টাররা পরে।" আমি টাই ও বুঝি না ব্যারিস্টারও বুঝি না ! তবু চুপ করে থাকলাম। আমি তখন ৮/৯ বছরের শিশু।