Tag: আলমডাঙ্গা

রাখছি বুকে আলমডাঙ্গার সোনার মানুষ, মধুর হাসিবন্ধু আমার আলমডাঙ্গা, আমি তোমায় ভালো বাসি ।

আগুন জ্বালবে, নিজেরা জ্বলবে… একজোড়া কাতর চোখ তোমাকেও পাহারা দেবে, যেমন দিয়েছে আমায়। কিন্তু আমি আর সূর্য ডোবার কালে বলবো না মধুমিতা, সন্ধ্যা নামে, চলো উঠি।

গ্রীষ্মের ভীষন রাগী সূর্যের রাগে ফেটে চৌচির খা খা তোমার শুন্য বুক, আর হেটে যেতেন পূর্বপুরুষ আমাদের ক্লান্ত, বড় বেশি তৃষিত।

ষাট এবং সত্তর দশকে আলমডাঙ্গায় বেড়ে ওঠা একজন মানুষের তখনকার তরুণদের যাপিত জীবন।

যখন বুঝতে শিখেছিলাম তখন দেখেছি অনেকগুলো ক্লাব ছিল আলমডাঙ্গায়। ফ্রেন্ডস ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, টাইগার ক্লাব, রেইনবো ক্লাব, টারজান ক্লাব, গোবিন্দপুরের সোনালি সংঘ এগুলো ছিল নামকরা। এছাড়া প্রায় সব গ্রামেরই একটা নিজস্ব একাদশ ছিল। কোন কোন গ্রামে একের অধিক একাদশও ছিল। খেলা যায় এমন সব জায়গায় বিকাল বেলা কোন না কোন খেলা নিয়ে শিশু-কিশোর-তরুণরা মেতে থাকতো। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ছোট বড় ফুটবল, ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টন লীগের আয়োজন করতো। ইন্টার স্কুলের খেলাগুলো নিয়ে ছিল মাতামাতি। সবগুলো ক্লাব থেকে যাচাই করে ভাল সেরা খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হতো আলমডাঙ্গা একাদশ।

আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ি গ্রামের প্রাচীন মসজিদটিই বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রথম মসজদি। এর আগে আর কোন মসজিদ ছিল কিনা তা এখন আর জানা যায় না। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি শুধুমাত্র আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা তথা বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার প্রাচীনতম মুসলিম নিদর্শনই নয়, প্রাচীন বাংলার স্থাপত্য কলার এক অনন্য নজিরও বটে।

স্কুলটাকে ঘিরে আমার মতই অজস্র স্মৃতি জমে আছে স্কুলটির সহস্র ছাত্র-ছাত্রীর মনে। তাদের সবাইকে, এবং বেশির ভাগকেই, আমি চিনি না; তাদের কাছে আমিও অচেনা।...

সোলাইমান স্যার ইংরেজি বিষয়টা ছাত্রদের অজান্তেই তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারতেন। যারা পরিশ্রম করতে পারত তাদের বিফল হওয়ার সুযোগ ছিল না। চর্চা চর্চা এবং চর্চা- এই ছিল একমাত্র অস্ত্র।